কক্সবাজারে মরুভূমির ‘সাম্মাম’ চাষে সফলতা
কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলার পাঁহাশিয়াখালীতে ‘সাম্মাম’ হাতে আব্দুর রব। ছবি: খবরের কাগজ
কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলার পাঁহাশিয়াখালীতে প্রথমবারের মতো সৌদি আরবের ফল ‘সাম্মাম’ চাষ করা হয়েছে। আর এ ফল চাষ করে সফল হয়েছেন স্থানীয় কৃষি উদ্যোক্তা মোহাম্মদ আব্দুর রব হোসাইন। চলতি মৌসুমে ২৫ শতাংশ জমিতে এই বিদেশি ফল চাষ করেন তিনি। তার হাত ধরেই এই উপজেলায় প্রথমবারের মতো চাষ হয়েছে এই ফলটি। নিয়মিত পরিচর্যায় ফলনও পেয়েছেন আশানুরূপ।
সাম্মাম মূলত সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি রসালো ফল। এই ফলটি খেতে অত্যন্ত সুস্বাদু, মিষ্টি ও সুগন্ধিযুক্ত। অনেকের কাছে দেশে এই ফলটি রক মেলন, সুইট মেলন, মাস্ক মেলন নামে পরিচিত। মরুর এই ‘সাম্মাম’ বাংলাদেশে নতুন করে পরিচিতি পাচ্ছে।
অধিক পুষ্টিসমৃদ্ধ ফলটি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, চোখের দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধি করে, ক্যানসারের ঝুঁকি ও প্রদাহ কমায় এবং হজম শক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
কৃষক মোহাম্মদ আব্দুর রব হোসাইন জানান, বেসরকারি সংস্থা ‘আইডিএফ’ ও কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় পরীক্ষামূলকভাবে প্রথমে ২৫ শতাংশ জমিতে এ বছর তিনি সাম্মাম চাষ করেছেন। ইতোমধ্যে প্রতিটি গাছেই ফুল-ফলে পরিপূর্ণ হয়েছে। বিক্রি করে তার ভালো আয় হবে।
তিনি আরও জানান, সাম্মাম আবাদের সুবিধা হচ্ছে অল্প সময়ে এবং সাশ্রয়ী মূল্যে ফসল উৎপাদন করা যায়। তা ছাড়া এক বিঘা জমিতে যে পরিমাণ কুমড়া লাগানো যায়, তার চেয়ে দ্বিগুণ সাম্মাম লাগানো সম্ভব।
সাম্মাম চাষাবাদ সম্পর্কে প্রচারণার অভাবে এ ফলের চাষ কম হয়। ভিনদেশি রসালো ফল দেখতে প্রতিদিনই আশপাশের কৃষকরা আসছেন। কেউ কেউ আগামীতে এ ফল উৎপাদনের জন্য পরামর্শও নিচ্ছেন আব্দুর রবের কাছ থেকে।
এ ছাড়া ইসলামাবাদ ইউনিয়নের গজালিয়া এলাকায় মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম বেসরকারি সংস্থা ‘আইডিএফ’ ও কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় ৪০ শতক জায়গায় এই ফলটি চাষ করে ব্যাপক লাভবান হয়েছেন।
আইডিএফের কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ আজমারুল হক বলেন, ‘চলতি মৌসুমে এই উপজেলায় পরীক্ষামূলকভাবে ৬০ শতাংশ জমিতে স্কোয়াশের প্রদর্শনী দেওয়া হয়েছে। ফলনও খুবই ভালো হয়েছে। ভবিষ্যতে আইডিএফ এবং কৃষি বিভাগ সমন্বয় করে সাম্মাম বাণিজ্যিকভাবে চাষাবাদের ব্যবস্থা করবে।
পাঠকের মতামত